Saturday, 18 May 2013

 চিকিৎসকের ‘ভুলে’ আট বছর বয়সে পা হারানো নিতুর স্বপ্ন ডাক্তার হবার।
কাঠমিস্ত্রি বাবার একমাত্র মেয়ে সানজিদা নাসরিন নিতু (১৩) মংলার সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। ক্লাসে সে বরাবরই প্রথম হয়।
বাগেরহাটের মংলা পৌর এলাকার হাজী আফছার উদ্দিন সড়কে তাদের বাড়ি।
তার দরিদ্র বাবা মো. শহিদুল ইসলাম জানায় নিতুর চিকিৎসা করতে গিয়ে তাদের একমাত্র সম্বল বাড়িটি এক সময় বিক্রি করতে হয়।
তিনি বলেন, “লেখাপড়ায় মেয়ের ভালো ফলাফলে বাড়ি বেচার দুঃখ ভুলে গেছি।”
দুই ভাই বোনের মধ্যে ছোট  নিতু এক সময় অন্য সব শিশুর মতোই দৌড়াদৌড়ি করে খেলত।
ছয় বছর বয়সে নিতুর বামপায়ে একটি ফোঁড়া হয় । কিছুদিন পরে তা শুকিয়েও যায়। তবে কদিন পর পায়ে খুব ব্যাথা অনুভব করতে শুরু করে সে।
চিকিৎসার জন্য ওকে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে  চিকিৎসক অস্ত্রপচার করার পর ওর পায়ের হাড় ক্ষয়ে যেতে থাকে । এভাবে দুবছর কেটে যায়। অবশেষে কেটে ফেলতে হয় ওর পা।
পঙ্গু হয়েও ভেঙ্গে পড়েনি ছোট্ট নিতু। লেখাপড়ায় দারুন মনযোগী নিতু ভালো ছবিও আঁকে। ছবি এঁকে ডজন খানেক পুরস্কারও পেয়েছে সে।
চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছার কারণ বলতে গিয়ে সে বলে, “ভুল চিকিৎসায় তার মতো আর কাউকে যেন প্রতিবন্ধী হতে না হয়।”

0 comments:

Post a Comment